সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে না পারার পেছনে সরকারের কূটনৈতিক দুর্বলতা অনেকাংশে দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপের নেতারা। ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এ কথা বলেন। তারা বলেন, সীমান্ত হত্যার সংখ্যা শূন্যতে আনা এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত দুই দেশই সম্মত হয়েছে কয়েক বছর আগে। তারপরও সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের মতে বিএসএফ আত্মরক্ষার জন্য হত্যা করে। কিন্তু বাস্তবতা তা প্রমাণ করে না। ফেলানী দিবস উপলক্ষে নেতৃদ্বয় বলেন, ফেলানী হত্যার ফলে বাংলাদেশে এবং ভারতেরও বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হয় ফেলানীর ঝুলন্ত দেহের ছবি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ও ন্যায়বিচারের দাবি থাকলেও সে বিচার আজও শেষ হয়নি। ফেলানীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশও আমলে নেওয়া হয়নি। যা দুঃখজনক। তারা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর উচিত একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের জন্য দাবি তোলা। সেখানে এ জাতীয় ঘটনার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ উভয়ই অভিযোগ জমা দিতে পারবে। প্রয়োজনীয় প্রমাণও জমা দেবে উভয়পক্ষ। এই কমিশনটি হবে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কুড়িগ্রামের অনন্তপুর-দিনহাটার খিতাবেরকুঠি এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন ফেলানী।